রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
নাজমুস সালেহীন : পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে বাসচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পৃথক আরেকটি দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চোমরা গ্রামের আবুল হোসেন মিনার ছেলে মো. ইয়াসিন মিনা (১৪), কচুয়া উপজেলার আল আমিন মল্লিকের ছেলে মো. শাহিন মল্লিক (১৮), কচুয়া উপজেলার মো. বাদশা (১৮), কচুয়া উপজেলার মো. শাহিন মোল্লা (১৯), মো. ছাব্বির হোসেন (১৭)। এছাড়া পৃথক আরেকটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পিরোজপুর পৌরসভার কেষ্ট নগর এলাকার মোয়াজ্জেল হাজীর ছেলে মনিরুল জামান (৫৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে নসিমনে করে কয়েকজন বাগেরহাট থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী গ্রামীণ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৫৩৩৭৫) একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা নসিমনটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই বাদশা ও শাহীন মারা যায়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর ইয়াসিন মারা যান। খুলনায় নেওয়ার পর শাহীন ও ছাব্বির নামের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুর পৌরসভার ধুপপাশা এলাকার পিরোজপুর-হুলারহাট সড়ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সিরাজুল ইসলাম শিমুল জানান, আমরা বাগেরহাটের কচুয়া থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ক্যাটারিং সার্ভিস (খাবার পরিবেশন) দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা এলাকায় এলে ডান পাশের চাকাটি ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক দিয়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই শাহিন মল্লিক ও বাদশার মৃত্যু হয়। জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইয়াসিনও মারা যায়।
আহত অবস্থায় শাহীন ও ছাব্বিরকে খুলনা পাঠানো হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। বাসচালককে আটকের চেষ্টা চলছে।